বন্ধুত্ব সেবা শান্তি আর উন্নয়নের মহান ব্রত নিয়ে গড়ে ওঠা কল্যাণকামী অলাভজনক সংস্থা গোপালগঞ্জ সোশ্ ল্ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (জি এস ডব্লিউ এ) তার ব্যাপক কর্মপরিধির পরিচিতি এবং ব্যাপ্তি বৃদ্ধিতে বিশ্বজনীন সাইট উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে জেনে আমি ভীষণভাবে আনন্দিত এবং সবাইকে অকৃত্রিম অভিনন্দন। গত একযুগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে ধণাত্মক তরঙ্গ সৃষ্টির ফলে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের দৃশ্যমান স্বপ্নসিঁড়ি রচিত হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিশ্ববাসীকে অচিরেই তাক লাগিয়ে দেবে। জনসংখ্যার অধিক ঘণত্বহেতু রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রাণান্ত চেষ্টা সত্ত্বেও ঐশ্বর্যময় আমাদের এ দেশের ঈর্ষণীয় ভৌত ও মেধাসম্পদের কারিগরী উৎকর্ষ সাধন ও সম্পদ বন্টন ব্যবস্থায় ভারসাম্যের চূড়ায় পৌঁছানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ও ব্যবহার এবং কারিগরী যান্ত্রিকতার ব্যবহার সামগ্রিক কৃষিতে অব্যাহত প্রবৃদ্ধির যে বিপ্লবের সূচনা করেছে তা জনকল্যাণ ও উন্নয়নের অন্যান্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে সম্প্রসারিত ও সঞ্চারিত হলেই সামগ্রিক আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনবে এটা বাঞ্ছনীয়। জি এস ডব্লিউ এ অংকুরোদমের প্রাক্কালে রাষ্ট্রের জনকল্যাণ ও উন্নয়নের ধারায় কেন্দ্রীয় গ্রীডে শক্তি সঞ্চালনের লক্ষ্যে জাতির পিতার আদর্শে প্রান্তিক পর্যায়ে দুস্থ মানবতার সেবা, কারিগরী প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপন, মাদক-দুর্নীতি রোধ, কর্মমূখী শিক্ষা সম্প্রসারণ, সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি, বন্ধুবৎসল প্রজন্ম তৈরী, ক্রীড়ামোদ বিকাশ এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে মানবিক গুণাবলীর বিকাশে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংস্থা হিসেবে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করে তা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে যা অনেক আনন্দের এবং স্বস্তির। জি এস ডব্লিউ এ কখনো প্রত্যয়চ্যুত হবেনা এ আশাবাদ নিয়ে ওয়েবসাইটের শুভসূচনা প্রত্যাশা করছি এবং কর্মসংশ্লিষ্ট ও সংগঠনের স্বপ্নদ্রষ্টাগণের মঙ্গল কামনা করছি।
আমার অত্যন্ত প্রাণপ্রিয় রাজনীতিমুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ”গোপালগঞ্জ সোশ্ ল্ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (জি এস ডব্লিউ এ)” একটি ওয়েবসাইট খুলতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করছি। জন্মলগ্ন থেকেই সংগঠনটি জাতির পিতার আদর্শ এবং স্থিরকৃত লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্যের সাথে আপোষহীন স্বেচ্ছাশ্রমে সমাজকল্যাণমূলক কার্যাদি সম্পাদন করে যাচ্ছে যা আমাকে ভীষণ আলোড়িত করে, আমি স্বপ্ন দেখি স্বর্ণসম এ মৃত্তিকার জঠরে সমৃদ্ধ জনপদের। রাস্ট্রের জনকল্যাণমূখী উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এ সংস্থা সহযোগী এবং সহযোদ্ধা হিসেবে সংগ্রাম করছে এবং তা অব্যাহত রাখবে এটা অনুমেয়। সহমর্মিতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ, পারষ্পারিক সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্ব সেবার মূল্যবোধসম্পন্ন নৈতিক কর্মক্ষম যুবসমাজ তৈরী, জনকল্যাণমূখী উন্নয়ন বান্ধব মনোভাবের বিকাশ, সনদমূখী শিক্ষাব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে কর্মমূখী শিক্ষাব্যবস্থা জনপ্রিয়করণ, অমিত সম্ভাবনার যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে ফিরিয়ে আর্থসামাজিক কাজে সম্পৃক্ত করত: জনসম্পদে পরিনত করা, উন্নত সাংস্কৃতিক মানের সমাজ বিনির্মানের আদর্শ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে জনকল্যাণে রাষ্ট্র- সরকার সূচিত অগ্রযাত্রার রথে এ সংগঠন আরো মাত্রা যোগ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি সংগঠনের এবং উদ্যোক্তাগণের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।
যে কোনো সংগঠন কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পালনে গড়ে উঠে, গোপালগঞ্জ সোশ্ ল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনও তার ব্যতিক্রম নয় ।এটি একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক অসাম্প্রদায়িক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এর যাত্রা শুরু । এ সংগঠনের অঙ্কুরোদগ্মম ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর আর আনুষ্ঠানিক চলার শুরু ২১ জুন ২০১৪, বাংলাদেশ পুলিশের সহায়তায় বিনামূল্যে রক্তদানের মাধ্যমে । দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর প্রবাস জীবন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আমার প্রিয় জন্মভূমি গোপালগঞ্জে এসে পাড়ায় পাড়ায় সামাজিক বন্ধন, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার চর্চা, প্রতিযোগিতার অংঙ্গন বিবর্ণ দেখে ৮০-৯০ দশকের চিন্তা চেতনায় নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর স্বেচ্ছাসেবকের মনোভাব নিয়ে গোপালগঞ্জে একটি সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগের সফলতাই আজকের গোপালগঞ্জ সোশ্ ল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন( GSWA) । এ সংগঠনে প্রথম থেকেই যুক্ত আছেন গোপালগঞ্জের বেশকিছু সমাজ হিতৈশী নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে, পেশায় জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ । আমরা কাজ করে চলেছি একাধারে সাহিত্য ,সাংস্কৃতিক , খেলাধুলা, বুদ্ধি বিকাশের শূন্যস্থান পূরণে অন্যদিকে সামাজিক উন্নয়নে মাদকাসক্তি, বাল্য বিবাহ , শিশু-পুষ্টি , পরিবেশ রক্ষা সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে, সুবিধা বঞ্চিত কিন্তু মেধাবী স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে ঝড়েপড়া রোধে। ডাটা সায়েন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেন্জ, ইন্টারনেট, ইন্টারনেট অব থিংকসের এ যুগে সংগঠনকে মেলে ধরতে নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকা সময়ের চাহিদা। আমি মনে করি এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা আরো শক্তিশালী হবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, সংগঠন হবে গতিশীল, সমাজকল্যাণে আরো অধিক সংখ্যক সমাজকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক আমাদের সাথে যুক্ত হবেন। দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত গোপালগঞ্জের গর্বিত সন্তানসহ সবার পরামর্শ, গঠনমূলক সমালোচনা, সহযোগীতা, অনুপ্রেরণায় একদিন GSWA একটি ঐতিহ্যবাহী আলোকবর্তিকা হয়ে সমাজ গঠনে আরো শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে । কিন্তু যেতে হবে অনেক দূর। জয় বাংলা।