বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা ও সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ এ জেলাকে করেছে মহিমান্বিত এবং জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় ইতিহাসের অংশ। শিক্ষাঙ্গন, সাহিত্যাঙ্গন ও জাতীয় নেতৃত্বের বহু শ্রেষ্ঠ সন্তানকে জন্মদিয়ে ধন্য গোপালগঞ্জ । গর্বিত এ মাটিতে আরো জন্ম গ্রহণ করেছেন বারবার নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শামসুল হক, মতুয়া দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, ঔপন্যাসিক রমেশ চন্দ্র সেন, লেখক ও সাংবাদিক মৌঃ আব্দুল হাকিম, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ।
তা সত্তে¡ও নিরক্ষরতা, বেকারত্ব, কর্ম বিমুখতা, অসহায়ত্ব, দুঃস্থতা, দারিদ্র, পঙ্গুত¦, ব্যাধি, জরা, সামাজিক অনাচার, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, মাদকাসক্তির ভয়াবহতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বাংলাদেশের অন্য দশটি জনপদের মত আমাদের এ প্রিয় গোপালগঞ্জেও বিদ্যমান রয়েছে।
এগুলো থেকে পরিত্রাণের জন্য গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব পোষণ করে গোপালগঞ্জের কিছু সংখ্যক উৎসাহী সমাজসেবী, শিক্ষিত তরুণ ও যুবকের উদ্যোগে এই অলাভজনক, অরাজনৈতিক, অসা¤প্রদায়িক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Gopalganj Social Welfare Association (GSWA) এর প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। সংগঠনের মূলনীতি বন্ধুত্ব, সেবা, শান্তি ও উন্নয়ন। এই গঠনতন্ত্র সংগঠনের সকল সাধারণ সদস্যের পবিত্র আমানত - যা অত্র সংগঠনের ভিত্তি। কোন সাধারণ সদস্য, কার্যনির্বাহী সদস্য অথবা অন্যান্য পরিষদ সদস্য এই গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না। সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন জটিলতা দেখা দিলে এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত ধারা, উপধারা ও অনুচেছদ মোতাবেক সমাধান করতে হবে। এই গঠনতন্ত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশিকা অনুসারে প্রণীত এবং সংগঠনের সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক যতক্ষণ পর্যন্ত কোন ধারা বা উপধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা সংশোধন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অত্র সংগঠনের সংশি¬ষ্ট সকল সদস্য, ব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠান/পক্ষ এই গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারা, উপধারা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।